ও হে অন্ধপাখি
রোজই যে তোরে সুধাই আমি, শোনাবি একটা গান ?
যে গান শুনে চোখের জলের বৃষ্টিধারা বইবে ওই কালো চোখ দুটির কোলে..
জানি তুই অন্ধপাখি
তাবলে কি তোর অশ্রুও গেল শুকিয়ে
কান্না ভেজা গলায় কেন গেয়ে উঠিস না, মন ভাঙা সাত সুরের তান।
অন্ধ হলে কি বোবাও হতে হয় বুঝি ?
দেখনা একবার বজ্রপাতের মত চেঁচিয়ে
ভেঙে দেখ তোর ওই জমে বসা নীরবতা
এই ধরাও যে তোর অপেক্ষার উল্টো পানে অপেক্ষাতেই রয়েছে
তোর সাত সুরের ছন্দে নতুন বর্ষায় নতুনের পদ্য লিখবে বলে
তুই যতই বোবা হতে চাস
তোর প্রাণে কান পেতে আমি শুনেছি হাজার মেঘের হাঁপিয়ে ওঠার শব্দ
ওরা যে পাগলের মত দৌড়াচ্ছে, হাঁপিয়ে উঠেছে গর্জিয়ে উঠবে বলে
চোরা বালির মত জমছে সেথা, এবার ওদের গর্জাতে তুই দে
বৃষ্টি হয়ে শুকনো কুয়োর পানে ঝড়তে ওদের দে
নিস্তব্ধ বিদ্যুতের আগুন নেভা এবার, হল তো অনেক কাল
পুড়ে যাওয়া ছাই গুলোকে এবার উড়ে তো যেতে দে
এক ডালে মরা পাখির মত বসে থাকবি আর কদিন
চিলেকোঠায় ভাঙা জানলার পাশে বসে থাকা ওই কালো মেয়েটার
দিকে একবার মনের চোখ দিয়ে তাকিয়ে দেখ
যেন তোরই সামনে আয়না ধরা হয়েছে
কিরে এবার তো একটু হেঁসে বল,
অন্ধের সামনে আবার আয়নাও ধরা যায় বুঝি ..
ওঠ নারে পোড়া কালো মেয়ে , ওঠ এবার
দয়া কর আমায়, আর ওই ভাঙা চিলেকোঠার ভার বারাস না
ও যে এবার ভেঙে টুকরো হয়ে যাবে
আয় এবার বেরিয়ে আয়, বর্ষায় নতুন বীজ যে আবার তোকেই বুনতে হবে।
-স্বস্তিক
-