সময়টুকু ছিল ধরা হাতের মুঠোর মাঝখানে, যে সময়ে যখন তখন বাজত সুর তালে প্রাণে, হঠাৎ সময় উথালপাথাল মাতাল ঝড়ে ঢেউয়ের টানে, পিছলে গেল কোন গভীরে ভেসে গেল অকাল বানে।
একটি মেয়ে পৃথিবীর যাবতীয় গুণ নিয়েই পৃথিবীতে জন্ম নেয়। যদিও সে চিরকাল বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে না, তবুও চিরকাল বাবা-মা তার মনের মধ্যেই থাকে। মেয়েরা সবসময় বিনাশর্তে ভালবাসা, আর মাথায় করে সর্বস্ব দেখাশোনার জন্যই জন্ম নেয়। মেয়ে সন্তানের বাবা-মা হবার ভাগ্য কিন্তু সবার হয় না। যে ঘর সৃষ্টিকর্তার পছন্দ সে ঘরেই মেয়ের জন্ম হয়।
কোনো একদিন রাত পোহালে, বা কোনো একদিন সন্ধ্যা হলে, কে জানে কখন সে ডাক আসবে চলে। হয়তো ঘুমভাঙা কোনো ভোরে, অথবা রাতদুপুরে ঘুমের ঘোরে, কে জানে কখন ডাক দেবে সে জোরে। তারপর সব মায়ার বাঁধন কেটে, তার পিছন পিছন একলা হেঁটে, পাওনাদেনা হিসেবনিকেশ যাবে মিটে। পা ফেলতে সিঁড়ির ধাপে ধাপে, যদি একটুখানিও বুকটা কাঁপে, তবুও সে যাত্রা জারি নির্ভীক পদক্ষেপে।
নাছোড়বান্দা কিছু আশা নিয়ে বুকে, আশায় ঢেলো না জল, বরফ দিয়ো না ঘষে। আকাশ থেকে পৃথিবীতে নামতে হলে ঝুঁকে, একটা ভুল মানচিত্র চাই বলে হাঁকতে পারো, তবে শোনার জন্য থাকবে না কেউ, একলা থেকো সর্দি-গর্মির দোষে।
পাবে আরেক অন্য আকাশ, অন্য নদী, অন্য বন, অন্য বাতাস, অন্য মানুষ, অন্য ঘর, অন্য দুয়ার, অন্য সুবাস। দু'চোখ ভরে দেখবো আমি একলা বসে, শূন্য সকাল, নিঝুম দুপুর, গহীন রাত করুণ হাসে, একলা ডাহুক কুহক মায়া ছড়িয়ে যখন ডাকে ছদ্মবেশে।
দেখো কী ঝরে পরে তাতে, পছন্দ হলে রেখে দিয়ো, অপছন্দ হলে ফেলে দিয়ো পথের ধূলাতে। উপহার মানে ভেবো না নিতেই হবে, যদি দু'হাত বাঁধার শিকল পাও, তাও কি তা সযত্নে হাতে বেঁধে রেখে দেবে?