একটা ফুটফুটে বাচ্চা তার মায়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছে। হাসছে,মুখ দিয়ে লালা ঝরছে আর খুব হাঁপাচ্ছে।তার মা তাকে বসালেন আর বললেন এখানে এসেও বাঁদরামি?পাগল কোথাকার আমাকে শান্তি দেবে না কখনও।এর সাথে দু চারটে চড়ও জুটলো ভাগ্যে তার। না না বিকল অঙ্গ নয় সবই ঠিকঠাক শুধু লাল পড়ে আর হাঁপায়। আর একটা মা কে দেখেছি তার হাতিমুখো বাচ্চাকে নিয়েও কত সুখী।তোমরাও দেখেছো, আরে গণেশের 'মা' দূর্গা গো। কত গর্ব তার, কোলে কোলে রেখে লাড্ডু খাওয়াচ্ছে দিনরাত আর ছেলের ভুঁড়ি বাড়ছে।এই ছেলেকে নিয়েই সবখানে সেল্ফি তুলছে। এই 'মা' এর কাছে কি বা আর দাবী থাকে 😊😊।অসুরবিনাশ তো এক্সট্রা পাওনা।
কতবার তোর ঠোঁট ফোলা জ্বর, শাষনে,বিরহে একুশটা বছর। ফিরে দেখিনি। যে কটা দিন স্বপ্নে গুনেছি, কানে কানে কত গল্প শুনেছি, ও প্রেম বাহানা খোঁজো । রাগ অভিমান শিউলি কুড়োলো, বাতাসে বাতাসে গরম জুড়োলো, চল নিঃশ্বাস নি। হতে পারে রোজ একই আলাপন, স্থির হতে হলে আগে হোক আলোড়ন। তারপর চোখেচোখ। বালিশে বালিশে হোক চিৎকার, মুঠো মুঠো হাত হোক ধিক্কার। করি পুনঃরুদ্ধার। নতুনের মত আজকের দিন, অনেক হয়েছে মেড ইন চীন। শক্ত থাকি রে। কোকিল গরমে গান ভোলেনি, রবি কখনও প্রাণ ভোলেনি। আসি শুরুর কাছে।
বাতাস আর ঝড়ের মাঝে আছে পার্থক্য। আমি বুঝি সব। তবুও এই মন অবিরত। শরীরগত। বাড়াই যত, পাপ। মুখের ওপরে মুখোশ,গেরুয়া রঙের প্রেম। ভেবেছি আলাদা আমি!!! মানুষের চেয়ে মুখোশের দাম বেশি। এলোকেশী, তোমায় দেখে আজ অস্থির মস্তিষ্ক। ছুটে ছুটে যায় টর্নেডো। কে বলে ঝড়ের আগে হয় বাতাস শূন্য!! যা কিছু শূন্যতা সব আসে পরে, ভাঙা হৃদয় ধুকধুক করে ভীষণ জ্বরে। হেরে যায় শরীরের কাছে মন। এর থেকে ভাল কাফন, মনের মৃত্যু মানেই শেষ।
শব্দের কাছে হাত পেতে থাকি, দেওয়ালের কানে কান। কবিতা একটা আসবে বোধহয়, ভেতরটা শুনশান। মনের যোনী ছিঁড়ছে মগজে, খুলিতে মারছে লাথি। ছোট্ট শিশুর বাবা না পেলে, খুঁজে নেব রাতারাতি। হাতের আঙুলে বেরোবি তুই? নাকি মুখের ভেতরে কাঁদিস? তোর 'মা' যদি হয়ে যাই আজ, কাল সমাজ খুলবে হাদিস। তুই কি বুঝিস কষ্টের দাম? শুধু ছন্দ ছন্দ খেলা। বড় হয়ে এই কবিকে দেখিস, তোর 'মা' আমি ছোটবেলার। স্বপ্ন ভীষণ তোকে বড় করা, তাই নিঁখুত করে আঁকি। তোর প্রতিমাই জ্যান্ত করে, কোলের মধ্যে রাখি।