তোমার জীবনে অপূর্ণতা শব্দটা সমস্ত ঝড় ও উথাল পাতাল এর জন্য দায়ী,
তার পাওয়া মানুষ টা ,
একদমই তার মনের খেয়াল রাখে না তাই দুচোখে ঘুম ঠিক আত্মীয়তা রাখে না!
আমার আবার হাতে গড়া পৃথিবী ভেঙে যেতে, এবং আলো মুখী ফুল গুলি কালো চাদরে জড়াতে বেশি ইচ্ছুক,
এই যে মানুষ টি হেঁটে যায় ছাতা হাতে, তার ছাতা শরীর কে তো বাঁচিয়ে নেয় কিন্তু তার কলিজা টি জলশূন্য স্থানেও প্যাচপ্যাচে হয়,
পাশের বাড়ি বাপ মা হারা মেয়ে তার ও নাকি গান এ মন বসে না, গলায় বেদনা ঠিক প্রকাশ পায় না,
এই যে বলো -
তোমার চেয়ে আমার দুঃখ বেশি , অমুক এর চেয়ে তমুক এর আরো..
আদতে কষ্ট ভিন্ন তবে মাপলে তাদের ওজন ও পথ একই!

-

নিয়মিত কালবৈশখীর মত জীবনের বিভিন্ন ধাপের ছন্দ গুলো এসে পৌঁছায়,
রাস্তায়....!
কিছু কুড়িয়ে পকেটে রাখি আবার কোনো টা চেঁচে ছুলে এই বাপেশো যন্ত্রটায়!
পৃথিবীর যা কিছু যাবতীয় পথের পরিণতি বা প্রাপ্য আছে তাদের সবেই বাঁধা আছে ,
তুমি নদী ! সুফলা গড়বে ঠিক আছে !
কিন্তু যতক্ষন অবদি তুমি পাথরের বুকে আঁচড়ে নিজেকে দুঃখ বলে ঘোষণা করে বদনাম নিতে না পারবে,
ততক্ষন অব্দি বাঁধা আছে , ধাঁধা আছে!
কিন্তু ভাবনার কোনো অবয়ব নেই!
ঠিক তেমন তাকে জাপটিয়ে ধরবার ও কেনো কৌশল তাদের জানা নেই,
এই ভেবেই কিছু ছন্দ কল্পনার এঁটো পাতে ফেলি রাখি, পাছে কেউ বা কারোর কাজে লাগে... অধিকাংশ ছন্দেই হোঁচট খায়,উবু হয়ে পরি , কিন্তুএই বিচ্ছিরি পা গুলো থামে না, হেঁটে যায়...
তবে এসবের মাঝে ছন্দের তালে কখন যে ছদ্ম হয়ে গেছি ঠিক'ই পায়নি!
এই যেমন একটা বিস্তর তুফান বুকে পুরে তাকিয়ে আছি...যাকে দেখছি সে আমিই.…কি মৃদু মন্দ হাসছে সে,
কি ভালো আছি তাই না? রোজ রোজ বকুল ঘিরে ধরে আঙিনা ....কি সুগন্ধ! তাই না?

-

চৈত্রের শেষে নাকি পাতা উড়ে?
ঠিক এমন ভাবেই এসো না!
গুমোট ভ্যাপসা অন্তরাল ভেঙে
রোমের ছাওয়ায়...
প্রাপ্তি না থাক! তৃপ্তি হয়ে...
শুধু একবার এসো!সেই যে, সেই রূপে !
না না! এমন গোছানো না!
সেই এলোমেলো খামখেয়ালী!হাওয়ার জালে জড়িয়ে পড়া
আধুনিক নারীর
সেই সেই ..... ঘাড়ে চুম্বন রত কেশ গুচ্ছের মত!
অসভ্য ? এমনটাই এসো না...
কথা দিচ্ছি ....
সন্ধ্যে নামার আগে তাল দীঘির কালো জলে
এ হিজল বুক পেতে বিছিয়ে থাকব!
হ্যাঁ সত্যি ! আর কোনো দ্বিধায় রাখবো না.....
শুধু আঁচল ভরে তোমায় কুড়িয়ে নেব!

-

মাঝে মধ্যে কিছু কথা উচ্চারণ করে উঠতে
ইচ্ছা হয়!
এমনি এমনিই,দু এক কলি পছন্দের গানের মত।
তখনই,বুকের ভেতর একটা দমকা হাওয়া
গলা বেয়ে ছুটে আসে..
আর পুরানো বাড়ির দরজা দুম করে
হয়ে যায় বন্ধ,
পূর্বের দিকে পিছন করে যে ঘর!
আলনায় রাখা একরত্তি প্রদীপ তখন সমাধিস্থ!
এক পা দু পা করে হেঁটে আসা আলো হতবাক
সৈনিক এর মত একে ওপরের
মৃত্যুর কারণ হতে চায়!
এর রূপ এবং বয়কট আন্দোলনের প্রবাহ সমান মনে হলেও
আদতে আমি নরম পন্থী!
তাই কথা গুলো শুরু হয়ে
কিছু দুর যেতে না যেতেই লুনির মত হারিয়ে যায়,
যা থাকে তাকে বলে কাদাময় এলাকা,যা বরাবরই
অশোভনীয়! সমাজ দ্বারা বঞ্চিত,
ঠিকই তো বলে লোকে! যার কোনো উন্মাদনাও নেই
যার বুকে ডুবে নিঃস্ব'তা পাওয়া যায় না,
যার নেই কোনো উন্মাদ বন্যা..!
সে আবার কিসের নদী...?

-

কাটা ঠোঁটের অনুভূতির আত্ম মর্যাদা একটু বেশি,
তাই শব্দ ,প্রয়োগ ব্যতীত, অনন্য কম্পনে তুখোর বিশ্বাসী,

মন্তব্য ,সমালোচনার বদ্ধ সাদা পাতায়
মুক্ত প্রমাণ, যুক্তি তর্ক আর উদাহরণের গলাকাটা রেশই, লাগে, বেশি আবেগী,

তাই ঘামঝড়ানো পরিস্থিতির অন্তিম, শূন্য পেয়েও, নিঝুম প্রতিবাদী কলমের বাস্তব লড়াই পুনরায় চালাতে বরাবর,

গণিত টাই বড্ড ভালোবাসি।।

-

একতরফা ভালোবাসা ঠিক,-শীতের সকালে ফুটতে না পাড়া গোলাপ র কুড়ির মতো

-

ঝোড়ো হাওয়ার মাঝে
ফিনফিনে শাড়ি যেমন বেহায়া হয়ে ওঠে
ঠিক তেমন অন্ধত্ব এর থেকেও সত্য
এই অনুভব,
তার কাজল চোখ থেকে
সৃষ্ট সমস্ত আকর্ষণ সর্বদা আমাকে
পাঠকের কাছে কবিতার আত্ম সমর্পণ এর মতই
নিবেদিত করে তোলে,
হ্যাঁ,ডাল ভাতের মতো তার লোমশ অঙ্গে মাখো মাখো
আমার প্রেম,
যেন ফুলের গায়ে ঢলে যাওয়া বসন্ত!
সে যখন ছুটে আসে বিস্তর ফারাক এ জগতে
সে তো মানে না! কে বলেছে তাকে এখানেই মোহনা ?
নাকি সেও বুঝছে! ওই যে হরফে নারী লেখা..
সেই সভ্যতাকে মা হতে বাধা দিতে পারা যায় না!

-

লিখতে বসে বড্ড দ্বিধা এসে
সব কিছু কেমন এলোমেলো করে যায়,
তাদের অভিযোগ একটাই..
এই যে আমি কবিতা লিখি,সেগুলো তো
ভাপা পিঠার মতোই স্পষ্ট,গদগদ দুঃখ!
আর পিপাসু মানুষের কাছে ডিসেম্বরের মতোই
ফিক্সড মেনু,
কিন্তু যে ছেড়ে গেছে,সেই বলেছে ভুলে যেও!
আমি ঋতু না,অপেক্ষায় আমায় পাওয়া যায়না,
তাহলে কি এই সব কবিতার রসদ?
একখানি নতুন কলম কে পোষ মানতে গিয়ে
বাদ পড়া পৃষ্ঠা? নাকি
গাছেদের আঁচড়ে কথা বলানোর চেষ্টা?

-

আকাশময় রোদের দিনে যে ছেলেমানুষ
বৃষ্টি আনে,
মাঝি-মোল্লার গানের মাঝে খুব আপন সে
মাটির কাছে।
ঝড়ো হাওয়া তুফান নিয়েও বড্ড সরল
যার পথ চলা,
শব্দ দিয়ে বানায় সে শহর,সামলে রোজ
ক্ষয়ের খরচ।
সেই মেয়েটার মুখে চোখে মেঘে কাটিয়ে
শরৎ বাঁচে,
বাঁশির সুরে প্রেমের আঁচে ভালো থাক সে
ঘাস ফুলেদের আলতো আলিঙ্গনে ।

-

অর্ণময়ী ! আলিশা!
কার্জন গেট! আগে যাবে,ফা-ফাস্ট!
কাকে যেন পিছে ফেলার ছন্দে এক দল শালিক উড়ান ভরলো...
ডিপো ছাড়লো টাউন সার্ভিস!
তোমাকে বোঝাতে ঠিক যতটা জড়িয়ে লেপ্টে যায় আমার কথা,
আকাশের বুকে ঠিক ততটাই হিজিবিজি ইলেকট্রিক তার ,সাথে নতুন পুরনো ইমারতের নক্সীকাঁথা,
এর মাঝে আঁকিবুকি করেই হাজির ধূসর শাল গায়ে সূর্য্য মামা,সাথে আমিও!
অলিগলিতে কত হাট বাজার দোকানপাট,কত মানুষের গল্প! কত নাছোড় বান্দা কবিতা!
আমি,শরীর ঠেলে এগিয়ে চলি!
ঘাস ফুলের মত ঝোঁকাল হাওয়ায় কখনো বাম থেকে ডানে...
রাস্তাকে খুব জমাট আলিঙ্গন করে পড়ি! ফিনিক আলো ছুঁয়ে যায় সরষের খেত!
দেখছো! আমি হঠাৎ-ই ফিরে আসি গ্রামে,
তোমার হাত ধরে-
শহর থেকে লক্ষ্য যোজন দূরে....
না! না! একটু কাছেই বলো?
একটা ছিপ ছিপে নদী বয়ে যায়,তার সবুজ অঙ্গে সোনালী রোদ প্রায় যাবো যাবো!
তুমি আমি থমকে দেখি,স্রোতের বিপরীতে মাছের প্রচেষ্টা...
পানকৌড়ি নিছকই ডুব মারে,দোষ কি বলো একটু আদটু তো আমিও লুকায়!
তুমি জানো এই গ্রাম কোন পুরে জীবিত! তাই তো মাঝে মাঝেই আমায় টেনে আনো!

-