সুবর্ণলতা বকুলকে জোর করেছে কিনা উপন্যাস জানায়নি, তবে আমাদের সত্যবতী সংসার ত্যাগ করতে পারেনি অকাল বৈধব্যের জন্যে, নিত্যানন্দ কোনো কাজে বাধা তো দেননি,বরং সাধ করে শখেই ডাক্তারি পড়তে উৎসাহ দিয়েছিলেন, আর নিয়তিকে জানেই বা কে,যে এই শখই সংসার প্রতিপালনের একমাত্র অবলম্বন হয়ে উঠবে…
( উপন্যাসের বীজ প্রত্যেক সংসারের চার দেয়ালের মধ্যেই ডানা মেলতে শুরু করে ,কেউ খেয়াল করে,কেউ করেনা)
যার পাঁজরের মধ্যে আমার একটা পাকা কুঠুরি আছে জানি ভেবেই কত বৃষ্টিতেই না ভিজেছি , এমন কখনো আশঙ্কা না করেই ভেসে গেছি কত সহস্র আঁকা বাঁকা নদী পথ,মোহনা আর সমুদ্র ছুঁয়ে,
অথচ প্রবল ঠান্ডায় জমা বরফের মত অন্ধকারের হাত থেকে কোনোভাবে ঘুম ভাঙা রাতে হাত বাড়িয়েছি যেই, সহসা সমস্ত রাজপথ জুড়ে স্লোগানে মিছিলে ভরে গেছে এই বলে : যে দরজায় তুমি কড়া নেড়েছ, বহু আগে ভাগে 'কাল' বসে আছে 'ডানা' মেলে, আর আমি হারিয়েছি 'বাস্তু'…
একটা সময় দুই ভিন্ন মানসিকতার মানুষের পথ ভিন্ন ভিন্ন দিকে বিভক্ত হয়ে যায় , না হলে ঘোলা জলের টানে স্বচ্ছ স্রোতও ক্রমে দিকভ্রান্ত হয় এবং সমস্ত নিয়ে ওই ঘূর্ণিতে অস্তিত্ব বিসর্জন দিতে হয়।।
কিন্তু যাদের ঘিরে সে স্মৃতি তারা নিঃসাড় নিঃস্পন্দ হলে সে স্মৃতি কেবল বোঝাসম হয়ে পড়ে, তাই সে সমস্ত স্মৃতিঋণের ভার বয়ে বয়ে ক্ষয় হতে হতে সমস্ত স্মৃতিকে শূন্যতা দিতে বড় ইচ্ছে করে…