চারিদিকে পিন পতনের স্তব্ধতা,ক্যানভাসে শুধুই সাদা-কালোর দৌরাত্ম্য।
কোথাও ছিটে-ফোঁটা রোদের স্পর্শ নেই...
ইতি-উতি বজ্রগর্ভ মেঘের আনাগোনা,যেন প্রবল ঝড়ের পূর্বাভাস;
তারই নীচে সফেন,নিস্তরঙ্গ সমুদ্রের বুক চিরে বয়ে গেছে সেতু।
আর তাতেই সুষমভাবে সারিবদ্ধ পুরুষের সমান্তরাল রেখা।
নিশ্চল,নিস্পন্দ লাইনের অবয়বগুলো প্রায় একই ধাঁচের;
কালো কোট-প্যান্ট-জুতো,মাথায় ফেজ টুপি আর কাঁধ থেকে ঝুলন্ত ব্যাগ।
হঠাৎ একপলক দেখলে অফিসযাত্রী কিংবা শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিকের কথা মনে পড়ে।
রেখার অভিযাত্রীদের ক্রমশ বড় থেকে ছোটো হতে হতে বিন্দুতে পরিণত হতে দেখা যায়।
বহমান সরলরেখার মতোই এলাইনের উৎপত্তি খোঁজা দুষ্কর!
প্রত্যেকের দৃশ্যমান পিঠ থেকে যেন নৈশব্দ গড়িয়ে পড়ছে,মেপে নিচ্ছে শিরদাঁড়ার ঋজুতা।
কিন্তু কোথায় চলেছে এই পুরুষবাহিনী?কীসের মাদকতায় সময়ই বা এমন অচল?
তবে কী অনন্তের পথে যাত্রা নাকি শেষ বিচারের স্থৈর্য!
যেন বাতাসে হাজার নিরুত্তর প্রশ্ন,কিন্তু চরাচরে প্রবল শব্দহীনতা।
নীরবতায় মুগ্ধ হয়ে কেউই লাইনচ্যুতি ঘটানোর সাহস দেখায়নি;
মেঘগুলো আরেকটু নীচ নেমে এলে,এমন মুহূর্তকে বন্দী করে ক্যাপশনে লিখলাম:
"ধূসর সাম্রাজ্যে নৈশব্দের মিছিল।"
চকিতে কে যেন বলে গেল,"কবি,নীরবতাও দ্যোতনাময়"!
-