সেই ছোট্টবেলায় বাবা-মায়ের ডিভোর্স,ওর মার ওকে ছেড়ে যাওয়ার পর তৃশার নতুন মায়ের আসার সাথে সাথে ওর ওপর অবহেলার পরিমাণ বাড়তে থাকে, ওর চাপা স্বভাবের জন্য কেবলমাএ বাড়িতে নয় বাইরের সবাই ও যেন ওকে ঠাট্টার বস্তু হিসেবে ভেবে নিতে থাকে,তৃশাও ইদানিং দু-তিন বছর ধরে এলোমেলো চুল,চোখের নীচে পুরু কাজলে অ্যাডজাস্ট করে নিয়েছে নিজেকে এসবে।
আজও সে প্রতি রাতের মতো বেডরুমের দরজা বন্ধ করে সিগারেট টানতে টানতে শুষ্ক চোখে দেখছিল ধোঁয়াগুলি কেমনভাবে শূন্যে মিলিয়ে যায়,নিভে আসা আগুনের সাথে সিগারেটটা অ্যাশট্রেতে রেখে সে দৌড়ে গেল ব্যালকনিতে, হঠাৎ বিকট শব্দ আর মাটিতে লুটিয়ে তৃশার নিথর রক্তাক্ত দেহ আর তখনও অ্যাশট্রে থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে!!!...
আসলে ছোটবেলার থেকে বাড়ির, আপনজনদের ভালবাসার থেকে বঞ্চিত অভাগী তৃশা সৌম্যকে খুব ভালবাসত,ওর আপন-পর, ভালবাসা-অভিমান সব ওকে জুড়েই ছিল, শেষে সৌম্যও যখন ওকে ঠকিয়ে ওর সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন নিশার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়,ও সেটা মেনে নিতে পারেনি....
-